স্পন্দনের কথা
নিশ্বাস পড়েছে গালে, অথচ নেবে না বলেছিলে
কোন সকালে
ভিজে বাতাসের কাছে রয়ে গেছে সবুদ
ইচ্ছের চিহ্ন স্পষ্ট এই তালে
দেখেছি কৃপণের হাত, সেখানে অঙ্ক জটিল হিসেবের
টানের গিঁট যদি হয় উদার
কাঁচা বাঁশ নয় শুধু ভাদরের!
কিছু অবোধ্য আবদার হাত পেতে ছিল কাতরে
হিয়ার স্পন্দনও বুঝেছিল ত্বক
তাই রুদ্ধ দরজা খুললো ‘নাটোরে’!
অঘরে চলে নিয়মিত
ভিতরটা সম্পূর্ণ নীরব
স্রোতের উল্টোধারা কথাকে করেছে মূক
দোলা নেই, আলোড়ন নেই
মনে হয় এতদিন তবে কী নিজেরই অপচয়?
ছিন্ন হয়ে যাওয়া সংযোগ
বিপুল শূন্যতা রেখে গেছে ফলহীন প্রতিক্রিয়ায়।
হাঁটতে হাঁটতে চলে এসেছি
এক প্রাচীন জলার কাছে
এখানে প্রতিটি মাটিকণা কী ভীষণ বাঙ্ময়
কোন ভেষজের তীব্র গন্ধে এখন
আত্মচেতনার নতুন আবিষ্কার হচ্ছে যেন
ফিরে যদি নাও যাওয়ার হয়
অপরাহ্নে দেখা হবে ছায়ার পোশাকে এগিয়ে আসা
বুদ্ধদেব বসুর সাথে।
কবিসম্মেলন পত্রিকার মার্চ ২০২৩ সংখ্যায় প্রকাশিত। সংখ্যাটি পাওয়া যাচ্ছে এখানে।
Leave a Reply