স্নিগ্ধ নদীর গল্প
প্রতিটি লেখার পরে কুমারী নদীটি
আবার বসন্ত আসে কোকিলের ডাকে
অক্ষত শিশ্নের মতো কলম উঁচিয়ে
অরূপ সুষমা দিই নদীর উপমা
প্রথম বর্ষণ শেষে সোঁদা গন্ধ ভাসে
তুই কি কামিনী কেয়া লজ্জিত ডাল?
সন্ধ্যার ছায়া মাড়িয়ে যাস— এদিক ওদিক
সূর্যাস্তে সিক্ত হয়েছে মান অভিমান
সারা রাত্রি নিষিক্ত ডিম্বাণু ছোটে নতুন প্রজন্মের খোঁজে
এক অনন্ত বাউল কল্পনায় আঁকলেন মানসপ্রতিমা
অথচ
সজাগ থাকেন তিনি দিন রাত্রি নিজস্ব প্রজ্ঞায়— মোনালিসা বা প্যাগোডার
মেরি বা বুদ্ধবাণী কেউ দিতে পারে না শান্তি…
তার ভাগ্যও অনিশ্চিত আজ! দেবীকে গেঁথেছে সুনিপুণ তরবারিতে বীর ইউলিসিস! মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবনে তার বীরের গর্ব আজ ম্লান…
ইনকুইজিশনের ভয়ে সে কি বিরক্ত…
জল-তপস্যা
দুঃখী একটা গাছ হয়ে জন্মেছিলাম
সমস্ত ঝড় জল-তপস্যাকে উপেক্ষা করে
পুনরায় যাত্রা শুরু হয়েছিল অনির্দিষ্টকালের
একাধিকবার নাম পালটে ছিলাম
যাতে তুমি আমায় ভুলে যেতে পারো
তাও কি ভুলে যেতে পারি তোমার নির্মোহ অভিকর্ষ
তুমি তো উত্তাল তরঙ্গেই ভেসে যেতে চাও
যেন স্নায়ু বেয়ে নেমে যেতে চায় উষ্ণ প্রস্রবণের ধারা
কতজনের মায়া মেখে জেগে থাকো তুমি
আমাকে এমন একা করে…
কবিসম্মেলন পত্রিকার মার্চ ২০২৩ সংখ্যায় প্রকাশিত। সংখ্যাটি পাওয়া যাচ্ছে এখানে।
Leave a Reply